প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০১৬ ৫:৫১ পিএম

uk--সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়া উপজেলা সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার ফরিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতি, হাসপাতালে সিন্ডিকেট তৈরী,কালোবাজারে সরকারী ঔষুধ বিক্রি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের অর্থ বিভাগ দেখভাল করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অফিস সহকারী ফরিদ আলম অবৈধ ভাবে হঠাৎ কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। হাসপাতালে সামনে নিজস্ব জমি কিনে গড়ে তুলেছে বিশাল অট্রালিকা। তাছাড়া বিবাহিত হওয়ার পরও হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সের সাথে অভিসার চলছে উক্ত ফরিদের। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১০ বছর পুর্বে উখিয়া ডিগ্রী কলেজে পিয়ন হিসেবে চাকুরী করা ফরিদ গত ৫/৬ বছর পূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে ম্যানেজের মাধ্যমে উখিয়া হাসপাতালে অফিস সহকারী পদে চাকুরী নেয়। সে থেকে এখনো উখিয়া হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন উখিয়া হাসপাতালে থাকার সুবাধে উক্ত ফরিদ হাসপাতালে তৈরী করেছে কয়েকটি সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট সরকারী ঔষুধ কালাবাজারে বিক্রি,হাসপাতালে সিট বানিজ্য, রোগীদের খাবার থেকে শুরু করে হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রন করে থাকে। ফরিদের নিয়োজিত সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে এমবিবিএস ডাক্তাররা পর্যন্ত স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেননা। উখিয়া হাসপাতালে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, সিন্ডিকেটের কারনে উখিয়া হাসপাতালে কোন ভাল মানের ডাক্তার থাকতে চায়না। উখিয়া হাসপাতালের অফিস সহকারী ফরিদ আলম এ হাসপাতালে দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে চাকুরী করে আসছে। একই সাথে ক্যাশিয়ারের দায়িত্বও পালন করছে। ফলে ফরিদ তার নিয়োজিত সিন্ডিকেট ব্যবহার করে অল্প সময়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। হাসপাতালের সামনে উচ্চ মূল্য দিয়ে জায়গা ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া ফরিদের রিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী সহ অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন ভাতা তার নিয়োজিত সিন্ডিকেটর মাধ্যমেই নিতে হয়।এতে সিন্ডিকেটকে দিতে হয় প্রতিমাসে কমিশন।
অভিযোগে রয়েছে, হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সভা সেমিনার এবং পথ্যসামগ্রী ক্রয় করছে মর্মে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে প্রতি মাসেই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফরিদ নিয়োজিত সিন্ডিকেট। এদিকে অফিস সহকারী ফরিদ আলমের বিরুদ্ধে নারী কেলংকারীর অভিযোগও রয়েছে। হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা তার হাতে একপ্রকার জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। ফরিদ সিন্ডিকেটকে মনোরঞ্জন করতে না পারলে নার্সদের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ দেওয়া হয়। অপবাদ দেওয়া হয় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার। এমনকি ফরিদের বিরুদ্ধে লোকাল লেভেল প্লানিং নামক এনজিও সংস্থার রোজিনা আক্তার নামের এক নার্সের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক থাকার কথা এখন লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরে স্ত্রী থাকার পরও নার্স রুজিনা আক্তারকে বিয়ে করার গুঞ্জন চলছে হাসপাতালের সর্বত্র। এ নিয়ে ফরিদের স্ত্রীর সাথে একাধিকবার ঝগড়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অফিস সহকারী ফরিদ আলম বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে আমি জড়িত নই। এছাড়াও এনজিও কর্মী নার্সের সাথে আমার অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনাও এক ধরনের অপপ্রচার। তবে হাসপাতালের কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরা জানান, প্রতি রাতেই অফিস সহকারী উক্ত নার্সের ডরমটরীর বাসায় যাতায়ত করে।
হাসপাতালে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটের ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প.প.কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মাবুদের সাথে (০১৯৬৯৬৫৫৭৭৩) মোবাইলে যোগাযোগ করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত

ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে ১ ঘণ্টাও লাগবে না :মিজানুর রহমান আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, আমরা মুসলিম, ...

সভাপতি মোঃ হোবাইব -সাধারণ সম্পাদক ফোরকান-সাংগঠনিক কামাল মহেশখালীতে লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ গঠিত

লবণ উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানী নয়, নায্যামূল্যাসহ রপ্তানির লক্ষে গঠিত হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে লবণ চাষি ...